লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কোন এক বাংলা ব্লগ সাইটে ১৩ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে
বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন আগে ড. আহমাদ তুতুনজী এসেছিলেন। গ্র্যান্ড আজাদ হোটেলে তাঁর স্মরণে আয়োজিত একটি প্রোগ্রামে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে যে চমৎকার বক্তব্য দেন তার সার নির্যাস নিচে তুলে ধরা হলো.........
ঃ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা লেখাপড়া শিখে পরীক্ষার সম্মুখীন হই, আর বাস্তব জীবনে আমরা পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে পড়াশুনা করি।
ঃ একজন বিজ্ঞ লোকের সাথে নাতিদীর্ঘ আলোচনা বা তাঁর একটু সঙ্গ মাসব্যাপী অধ্যয়নের সমান।
ঃ উত্তম মানুষ তিনি, যিনি কচ্ছপের গতিতে সঠিক পথে চলেন, সে নয় যে হরিনের বেগে ভুল পথে ধাবিত হয়।
ঃ অগণিত শিক্ষার্থী পাওয়া যায়, কিন্তু পরিশীলিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা নগণ্য ।
ঃ নিজের চারপাশের সকলকেই খুশী করতে মনোনিবেশ করাই ব্যর্থতার দ্বার খুলে দেয়।
ঃ এ পর্যন্ত তুমি কি অতিক্রম করে এলে তার সাথে তুলনা করো না, বরং নিজের সামর্থ দ্বারা কি অর্জন করা উচিত ছিল তার সাথে হিসাব মেলাও।
ঃ সফলতাই সব কিছু নয়, সফলতা লাভের আগ্রহই সব কিছু।
ঃ সফলতা পেতে হলে মানুষকে লোক চক্ষুর অন্তরালে অবস্থানকারী, হতাশ, একদেশদর্শী, অলক্ষুণে ও হিংসুটে লোকদের থেকে দুরে থাকতে হবে কেননা আমাদের সম্পর্কে যে সব কথা তারা বলে, তা আমরা তাদের থেকে দূরে থাকলে যতটা ক্ষতি করে, তাদের থেকে দূরে না থাকলে তা আরো বেশি ক্ষতি করবে। একদেশদর্শিতা, হতাশা, অলক্ষুণে ভাব কলেরার মত মারাত্নক রোগ সবসময় এগুলো থেকে দূরে থাকবে।
ঃ ভাল কথার চেয়ে ভাল কাজ অনেকগুণে উত্তম।
ঃ আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি মহান অর্জনের সূচনা হয়েছে চিন্তা ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ দিয়ে।
ঃ যে কোন কাজ সম্পন্ন করার সর্বোত্তম পন্থা সর্বদা বিদ্যমান, সে পন্থা লাভ করার চেষ্টা আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে।
ঃ তোমার কাজ কত দ্রুত সম্পন্ন করলে তা মানুষ ভুলে যায়, কিন্তু তোমার সফলতার মান থেকে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।
ঃ আপন সত্তার সাথে প্রতিযোগিতাই বিশ্বের সর্বোত্তম প্রতিযোগিতা, মানুষ যখন আপনসত্তার সাথে প্রতিযোগিতা করে তখন নিজেই উৎকর্ষিত হয় এভাবে যে, তার আজকের জীবন যেন গতকালের চেয়ে সুন্দর হয় এবং আজকের চেয়ে আগামীকালের জীবন যেন আরো সুন্দর হয়।
ঃ মানুষ কোন বিষয়ে উৎকর্ষ সাধন করতে পারে না যদি তাতে অভ্যস্ত হওয়ার পরিবর্তে দক্ষ না হয়।
ঃ যারা ব্যর্থ তারা বলে যা বাস্তবে লাভ হয় তা-ই সফলতা ।
ঃ পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া কোন প্রত্যাশাই পূরণ হয় না।
ঃ দ্রুততর যোগাযোগ, ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের এ যুগে জ্ঞানই একমাত্র শক্তি বলে গণ্য হয় না, বরং জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগই শক্তি।
(চলবে, ছাত্র সংবাদ থেকে সংগৃহীত)
1 comment:
মনে হচ্ছে, এগুলি "একজন সুখী মানুষ" হবার তরিকা :P
Post a Comment